সারজিদ আহাম্মেদ অপু : বিশেষ প্রতিনিধি :
ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেলোয়ার মুন্সী (৬০) ও তার ছেলে শাকিল মুন্সীকে (৩০) ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে নগদ ১১ হাজার ৭শ টাকা। সোমবার (২ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিষয়ে দেলোয়ার মুন্সীর স্ত্রী মৌসুমি আক্তারী (৪৭) ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে—সেদিন ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভাঙ্গা পিটিশন নং ৪০৪/২৫ মামলার হাজিরা শেষে দেলোয়ার মুন্সী, তার ছেলে শাকিল মুন্সী, স্ত্রী মৌসুমি আক্তারী এবং ননদ নাজমা বেগম রেলগাড়িতে বাড়ি ফেরার জন্য ফরিদপুর রেলস্টেশনের সামনে পৌঁছান। ঠিক সেই সময় মামলার বাদী পক্ষের শাহানাজ বেগম (৪০), সাইফুল ইসলাম তানজু (২৬), ডালিয়া আক্তার (৪৭) ও আরও অজ্ঞাত ৫–৬ জন সন্ত্রাসী ধারালো রামদা, ছ্যানদা, লোহার রড, পাইপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের পথরোধ করে ঘিরে ফেলে।
এজাহার অনুযায়ী, অতর্কিতে হামলা করে প্রথমে সাইফুল ইসলাম তানজু দেলোয়ার মুন্সীর মাথার চাঁদির ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে, এতে তিনি মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হন। এরপর অন্য আসামিরা লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার ডান হাত, পা ও পিঠে গুরুতর আঘাত করে।
ছেলে শাকিল এগিয়ে ঠেকাতে গেলে তাকেও বেধড়ক পেটায় আসামিরা। এলোপাতাড়ি মারধরে তার হাত–পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয়।
মৌসুমি আক্তারীর অভিযোগ, হামলার এক পর্যায়ে শাহানাজ বেগম তাদের স্বামী দেলোয়ার মুন্সীর প্যান্টের ডান পকেটে থাকা নগদ ১১,৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত দেলোয়ার মুন্সী ও তার ছেলে শাকিলকে উদ্ধার করে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এজাহারে নাজমা বেগমসহ আশপাশের পথচারীদের এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মৌসুমি আক্তারী জানান, স্বামী–ছেলের চিকিৎসা ও আত্মীয়দের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করার কারণে এজাহার করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।